সময়বিহীন এক ভাঁড়

দেখা গেল দাঁড়ায়ে রয়েছে সেই সময়বিহীন এক ভাঁড়
মাথার উপরে তার বম্বার-নক্ষত্রেরা— রাত্রির আঁধার
তাহার পায়ের নিচে কমলালেবুর মতো গোল পেটে ফুলে
পৃথিবী চলেছে যেন বাতাসের নাড়া খেয়ে ঢুলে
তবু সে-পায়ের তাড়া সে-ভাঁড়ের— বাতাস কোথায়
জল নেই— তবুও যা শুশুকের মতন লাফায়
আঁধারে বালিশে মাথা রেখে দিয়ে চোখ বুজে নিলে
ভালো ক’রে ঘুমাবার আগে এই পৃথিবীর স্তিমিত সলিলে
তেমন চালিত হয়ে হলুদ রঙের এক নদীর কল্লোলে
ভাঁড়, টুপি, ছড়ি আর প্যান্টালুন দোলে
হয়তো খ্রিস্টীয় আত্মা— কিংবা উর, ময়ের প্রতীক
অথবা পিচ্ছিল পেঁচা— কিংবা কোনও সমীচীন গ্রীক
ছিঁড়ে গেছে— ফেঁড়ে গেছে— সময়ের খোঁচা খেয়ে— হেসে
আমারে হাসাতে গিয়ে অব্যয়ের অন্ধকার থেকে ক্রমে ফেঁসে
আবার সে দাঁড়ায়েছে অধিকার ক’রে সব আধুনিক দিন
প্রতিটি বোতাম, টাই, নখ, লোম, লেজ তার সময়বিহীন।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা