যখন শরৎ আসে
যখন শরৎ আসে রক্তে কোনও বীজ যেন হেমন্তের সন্ধ্যাকে চায়
চায় সেই কুয়াশার ব্যবহার— আমরা দু’ জনে তবু শরতের ভূপৃষ্ঠে দাঁড়ায়ে
স্টেশনের পাশে হেঁটে— মন্থর শান্টিং দেখে এঞ্জিনের—
নীল কুর্তা সারা-দিন কয়লার সমাশ্রয়ে— চক্ষুকর্ণহীন
হয়তো ফেলেছে কেটে নাসিকাও; কারু-কারু তীক্ষ্ণ নাসা আছে ব’লে তৃপ্তি নিসর্গের
বিলোল সে— ভারে কেটে যায়;— নাচিছে শভেল তার
সকালকে পার ক’রে দিয়ে দুপুরের দিকে— দুপুরকে
আকাশরেখার দিকে, পরম আয়ুর দিকে চরম হংসের।
মাঝে-মাঝে জল খেতে আসে দেশে— এ-দেশে চাতক
ঐ বড়ো উঁচু ট্যাঙ্ক— বিপ্রলব্ধা গৃহিণীর মতো
তামাটে হাওয়ার ঢেউয়ে— দুপুরের রৌদ্রে— একা—
ঘড়ি-ধরা টাইমটেবলের দিকে ফিরে সুন্দর, সময়গ্রীব।
এখানে এঞ্জিন তাই বেগে আসে
পৃথিবীর মুখ্য গণনায় গৌণ হয়ে যায়— এক কোয়ার্টার
ফানেলের মুখে স্নিগ্ধ অবসর নিয়ে তার পর
সুশৃঙ্খল জীবনের সূত্রে জড়ায়।— চাতক তবুও মেঘ-ছাড়া
কিছু চায় না ক’— কুর্তার নীল ছাড়পত্র এক বার খুলে ফেলে
কয়লার চেয়ে কালো অদ্ভুত তিমিরে
আমরাও চাই না ক’ কিছু আর— জীবনের মানে ছাড়া
মাছিমারা কলমের বুকে যখন অম্বল জমে— দাম মাঝপথে ঢ’লে গেলে।
Comments
Post a Comment