চীনের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃতের শিয়রে

নির্মম জলের স্রোত রৌদ্রে খেলা করে সারা-দিন
দেখেছে আঁধার মেধা অবশেষে পাহাড়ের— গাঢ়— সন্নিকটে
চারি-দিকে বাতাস-উন্নীত নিস্তব্ধতা
এইখানে পাখির পালক— ডাইনির ঝাড়ু— ঝাড়ুও আসে না উড়ে কোনও দিন
মানুষিক ঘ্রাণ— স্বপ্ন— প্রেম— মৃত্যু: দূর গ্রন্থাগার
যেন সব দীপ্যমান মাছিদের ভিড়
উঁচু-উঁচু আকাশকুসুমঘোর তরুদের রসের নির্ঝরে রুদ্ধ হয়ে
(হলুদ আঠার বাড়ি— গোমেদমণির মতো শীর্ণ— জ্যোতিষ্মান
রচনা করিতে আছে জীবনের কাহিনীকে ঘিরে)
দূর— দূরান্তর মানবীয় পৃথিবীতে সেই সব স্নিগ্ধ— রুদ্ধশ্বাস।
তোমার জীবন তবু ভেঙে গেছে ডিমের খোলার মতো স্পষ্ট উপকাহিনীর
স্ফটিকের মতো ধূম্র জলে— অন্ধকার— অনন্তের দিকে
কোথাও বেদনা নাই আর
কোনও দিন অকৃতিম গল্প গড়ো নাই ব’লে
সম্মুখীন পাহাড়ের ধূসর গরিমা যেন
ইতিহাস-পিতামহ
যারা ম’রে যায় তোমার মতন
তাহাদের গৈবি লেখনীর মুখে সৃষ্ট হয়ে
এখানে দাঁড়ায়ে আছে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা