আছে

এখন চৈত্রের দিন নিভে আসে— আরও নিভে আসে;
এখানে মাঠের ‘পরে শুয়ে আছি ঘাসে;
এসে শেষ হ’য়ে যায় মানুষের ইচ্ছা কাজ পৃথিবীর পথে,
দু-চারটে— বড়ো জোর একশো শরতে।

উর ময় চীন ভারতের গল্প বহিঃপৃথিবীর শর্তে হ’য়ে গেছে শেষ;
জীবনের রূপ আর রক্তের নির্দেশ
পৃথিবীর কাম আর বিচ্ছেদের ভূমা— মনে হয়— এক তিলের সমান;
কিন্তু এই চেয়ে থাকা, স্থিতি, রাত্রি, শান্তি— অফুরান।

চারিদিকে বড়ো-বড়ো আকাশ ও গাছের শরীরে
সময় এসেছে তার নীড়ে;
ভালো লাগে পৃথিবীর রূঢ় রক্ত সভ্যতার দিনের ব্যত্যয়;
অন্ধকার সনাতনে মিশে যাওয়া— কিন্তু মরণের ঘুম নয়;

জেগে থাকা: নক্ষত্রের বাগীশ্বরী দ্যোতনার থেকে কিছু দূরে;
পৃথিবীর অবলুপ্ত জ্ঞানী বন্ধুরে
এই স্তব্ধ মাটিতেই মিশে যেতে হ’ল জেনে তবু চোখ রেখে নীলাকাশে
শুয়ে থাকা পৃথিবীর মাধুরীর অন্ধকার ঘাসে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা