এখানে ঘুঘুরা পায় টের

শেষ-রাতে হয়তো-বা ঘুঘু ডেকেছিল এক মাথাউঁচু দেবদারু থেকে
দুইটি অস্পষ্ট ঘুঘু গিয়েছে আলাপ ক’রে যেন এক সমুদ্রের পারে
কোথাও অব্যয় আছে— মালাক্কা-যাত্রীরা স্নিগ্ধ জাহাজের ডেকে নেমে এসে
হয়তো-বা দেখে কিছু—
কিংবা আরও অন্ধকারে পোর্ট-হোল থেকে চুপে চেয়ে
টের পায় তাদের পায়ের নিচে রয়েছে কঙ্কাল, শন, খড়কুটো
আরক ও বৃশ্চিকের মৃতদেহ আলকাতরার মতো কালো শিশি’র ভিতরে
তার পর সূর্য জাগে— হয়তো পুবের দিকে— হয়তো-বা পশ্চিমের দিকে
এই সব দিন আর রাত্রির— মানুষের— লেখাজোখা; কে রেখেছে লিখে
আমরা মূর্তির মতো নিধীশ সেগুনগাছে— জ্যোৎস্নায় মৃত অরণ্যের—
সুদূর সমুদ্র থেকে বলে তারা— এখানে ঘুঘুরা পায় টের।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা