অবশেষে

এখানে প্রশান্ত মনে খেলা করে উঁচু-উঁচু গাছ।
সবুজ পাতার ‘পরে যখন নেমেছে এসে দুপুরের সূর্যের আঁচ
নদীতে স্মরণ ক’রে এক বার পৃথিবীর সকাল বেলাকে।
আবার বিকেল হ’লে অতিকায় হরিণের মতো শান্ত থাকে।
এই সব গাছগুলো;— যেন কোনও দূর থেকে অস্পষ্ট বাতাস
বাঘের ঘ্রাণের মতো হৃদয়ে জাগায়ে যায় ত্রাস;
চেয়ে দেখ— ইহাদের পরস্পর নীলিম বিন্যাস
ন’ড়ে ওঠে ত্রস্ততায়;— আধো-নীল আকাশের বুকে
হরিণের মতো দ্রুত ঠ্যাঙের তুরুকে
অন্তর্হিত হয়ে যেতে পারে তারা বটে;
শঠের এক-জোটে কাজ ক’রে যায় মানুষেরা যে-রকম ভোটের ব্যালটে;
তবুও বাঘিনী হয়ে বাতাসকে আলিঙ্গন করে—
সাগরের বালি আর রাত্রির নক্ষত্রের তরে।

বৈশাখী । ১৩৪৮

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা