অন্ধকারে চুল রেখে

অন্ধকারে চুল রেখে নিবিড় মহিলা
গেয়ে যায় অবিচ্ছিন্ন সময়ের গান
কিংবা তার আংটিতে এক-দিন জাদুকর এসে
জ্বেলে গিয়েছিল পূর্ণ আগুনের মতো এক নীলা
গালের তিলের মতো নীল ভালো তিলার্ধপ্রমাণ

তাই তার মুণ্ড থেকে ঝ’রে গেছে চির-দিন— নক্ষত্রের দোষ
হংসীর মতন ঘাড়— যেন পূর্বপুরুষের নির্মল আক্রোশ
সন্ততির অন্ধকার গ্লানিমার প্রতি;
স্বর্গের কৃপণ মাথা পেয়ে গেছে নরকের মতো কালো কোলে অব্যাহতি
হৃদয়ের গভীর আবেগ
স্বর্গ— কি বা নিরয়ের মেঘ
সে কোন গুহার থেকে ক্রমেই উঠেছে এই চক্রাকার গতি
নারীর শরীর!— চোখের বিষণ্ন কালো শক্তির ভিতরে
দানব প্রেমিক আমি এই মৃগী মানুষীর তরে
আমার কপাল ঘিরে গোলাকার চাঁদিনির আলো
চীন-পর্বতের পাশে— দেবদারু-ছায়ার আঁধারে
আঙুল ঘুরায়ে দিলে দেবদারু পুড়ে গিয়ে
বিড়ালের মতো হয়ে যায় কালো লেলিহান আলো

ঘুরুনো ঘুরুনো ঘোর সিঁড়ির মতন বক্রাকারে
উঠে যায় দিকনারী— দিগন্তের হাতি
কৃতবিদ্য সঙ্গীতের মোমের মতন দয়াপরবশ শঠতায় মাতি
ভাই, বন্ধু, জায়া— সব বিবর্ণ বিস্ময়ে
কর্ণ হতে কর্ণান্তরে দূর বাতাসের মতো বহে
ব’হে যায়—
স্তব্ধ হয়ে সম্মুখীন আমাদের সকলের শত্রুর মতন
চাঁদের ছায়ার নিচে মহিলার মন—
অথবা দানব তুমি হয়ে গেছ আকাশের সীমান্তে এখন।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা