অন্ধকারে

অন্ধকারে থেকে-থেকে হাওয়ার আঘাত মাঠের ওপর দিয়ে
স্মরণ করায় আজকে কারা মৃত;
তাদের স্মৃতিবার্ষিকী আজ নদী পাথর ঘাস পৃথিবীর মনে
ধীরে-ধীরে হতেছে বিবৃত।
এ-সুর ভালো; পৃথিবীতে তবুও এক প্রেম রয়েছে তার
সুসমাচার ছায়াপথের নক্ষত্রদের মতো,
নারী ও তার পুরুষ নিয়ে— ইতিহাসের রাত্রি নিভিয়ে,
আকাশ-আশার শীর্ষে ওরা হয় না আহত।

তবুও আঁধার চুপে-চুপে সকলই গ্রাস করে ফেলে, নারী,
সে শীত শুধু সেন্টিগ্রেডের নয়;
সে অন্তিমতা— সে শূন্যতা— কে জানে কোন্ অর্থপ্রবীণ সময়প্রকৃতির:
তুমি জান, তোমার মুখে তাকিয়ে মনে হয়।
প্রকৃতি তখন তোমার নাভির ভিতরে আমি লীন
হয়ে আছি দেখে
অন্তবিহীন অন্ধকারের জন্মদান করে
অমৃতযোগ অন্ধকারের থেকে।

অনেক কাজ হয়েছে সারাটা দিন, অনেক প্রেম— জীবনজয় আলোর প্রেরণা
বধ করেছি। সুদীর্ঘকাল জেগে
অনেক শনি শেয়াল শকুন জ্যোতির্ময় ঘোষণা করা গেছে।
আবার সকল মুছে ফেলে বিঘূর্ণনের বেগে
যযাতিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়ে গেছে জীবনরাজ্য থেকে।
অসূয়া অসারতা দ্বিধা ঘুচিয়ে নতুন দিন
জাগাতে চেয়ে নানা স্কুলের গণনাহীন ক্যাম্প খুলেছে যারা—
তাদের হয়ে ত্রিশঙ্কুকে বিঁধিয়েছি বডকিন্।

দেখে গেছি শতাব্দীময় রক্তনদীরাশির দূরত্যয়
আত্নপ্রসাদ ভেঙে দিতে প্রাণের নদী এসে
পড়ি-পড়ি ক’রে নিখিল আত্নীয়তায় পড়ল ঝ’রে প্রায়;
দেখে গেছি করুণ ইতিহাসকে ভালোবেসে
আসি-আসি ক’রে প্রাণের সাহস সূর্য সকাল এল প্রায়;
কিছুই তবু এল না ক’; সময়কে যা দেবার সবই দিয়ে
কোটি আলোকবর্ষ পরে আকাশ, তোমার মনের কথা আজ
পেয়েছি অনাথ আমায় সুদর্শনাকে বুকে নিয়ে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা