হৃদয়, তুমি

হৃদয়, তুমি সেই নারীকে ভালোবাস, তাই
আকাশের ঐ অগ্নিবলয় ভোরের বেলা এসে
প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে অমেয় কাল হৃদয়সূর্য হবে
তোমার চেয়েও বেশি সেই নারীকে ভালোবেসে।
বাসুক;— তবু সবের চেয়ে আলোর কথা এই:
আমি তাকে সময়পরিক্রমার পথে আবছায়াতে দেখে
নিজের মূল্যে র’য়ে গেছে বলেই ভালোবাসি।
শরীর ঘেঁষে ভালোবাসে তবু তো অনেকে।

কাজ-অকাজের ঠাসবুনোনির ফাঁকের থেকে আমি
দেখেছি আমায়, দেখেছি যেন বিকেলবেলার জলে
থমকে ভাসা মেঘের মতো নীলাকাশের পথে
থেমে আছে; অথবা থেমে চলে
জানি না মেঘ; ভালোবেসে অথবা কৌতূহলে
জানি না নারীসূর্য আমায় আলোকিত ক’রে
নিজের অস্তকক্ষে নেমে সূর্য-প্রক্রিয়ায়
চ’লে গেছে কাদের ভিতরে।

যে যার নিজের বিহিত কাজে। সকলই ঠিক— এইরকমভাবে
সারাটি দিন আমার হৃদয় ব্যাপ্ত ক’রে রাখে।
স্বতই আমি যে গাল তিল যে হাত ভালোবাসি
রাত্রি হ’লে সেই হাত— সেই সুদূর হাত এখনও আমাকে
জানি না বিশ্ব-শৃঙ্খলাকে আঘাত ক’রে ভালোবাসে কি না;
সীমা সময় প্রকৃতি তাতে চূর্ণ হয়ে যেত;
সকলই তবু স্থির রয়েছে;— এই স্থিরতা তবু
তোমার আমার অজাত সব শিশুরও অভিপ্রেত।

কবিতা। চৈত্র ১৩৫৯

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা