শান্তি ভালো

গুলি খেয়ে শূন্যে মৃত্যু হবার আগে পাখি
যেমন তাহার সুস্থ দেহের পাখিনীকে দেখে
কামের পরিতৃপ্তি খুঁজে আকাশে উড়ে যায়
অন্ধকারে পাখি শরীর ছেড়ে দিতে শেখে—
অবাধগতি ঢিলের মতন ঘাস-পাথরের পানে;
তেমনই আলো-অন্ধকারের মরণ-জীবনের
মোহনা থেকে তোমাকে ভালবেসে
শান্তি ভালো: শান্তি ভালো, উড়েছি আমি ঢের।

অনেক পথ চলা হ’ল— তবুও আমি আজও
পেয়েছি যা— চেয়েছি সেই চক্রবলের রেখা?
সাত-আট বছর পরে আবার বনচ্ছবির সাথে
শীত সামাজিক রাত্তিরে আজ দেখা।
জীবন আমার সমাহিত অনেক দিনের থেকে;
নদী মাঠে ঘাটে শিশিরবিন্দুতে উৎসুক
হয়ে হৃদয় সফলতায় দিন বা রাত্রি এলে
বলেছে: এই স্পষ্ট শান্ত প্রবাহ আসুক।

নারীরা আসে, হারিয়ে যায়— ধীর জগতের সাথে
জেগে থেকে পেয়েছি আমি বিষয়স্থিরতা
কিছু ভাষা পৃথিবীকে দেবার— বাকি সবই
নিহিত হয়ে ব’সে থেকে গ্রহণ করার কথা
নদী শিশির সূর্য বৃক্ষ থেকে,
চারি দিকে আকাশ ভ’রে হয়েছে উদয়
সকল কালের বার্তাবহ নক্ষত্রদের আভা
ব্যর্থ হয়ে তবুও মানব গল্প স্নিগ্ধ হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা। শারদীয় ১৩৬২

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা