শঠতা

যাহারা শঠতা ক’রে ভেঙে গেল— তাহারা জানুক
তেল-চকচকে চাকা আপনারই অনুরোধে চলে
এই সেই অকপট সাধকের মুখে চেয়ে থেকে
মায়াবীর মতো জাদুবলে।

আমরা পাথর দিয়ে স্তম্ভ গড়ি নক্ষত্রের দিকে।
সুষুম্না নাড়িকে তবু অন্য কেউ করে নিয়ন্ত্রণ
কোথাও রয়েছে এক
শুভ লাঞ্ছন।

সেখানে সময় স্রোত বংশানুক্রমিক
কয়েকটি দৃশ্যমান শাখার ভিতরে
মনে হয় হাঙরের মতো সমীচীন
ঝুলে আছে স্তব্ধ জাদুঘরে।

সমুদ্রসৈকতে কোনও মালাক্কার উদ্বেল নাবিক
শোনে নাই কোনও দিন পামবীথি— সেগুনের স্বর
সূর্যের প্রশান্তি ঘিরে সমস্ত দিবস
বেজে গেছে এমন মুখর।

ব্যক্তি কিছুই নয়— জীবনের নীতি-দুর্নীতিতে
বৈতরণী তরঙ্গের এ-পার ও-পার
ক্ষিতিজ রেখায় নীল পাহাড়ের বর্ণনার মতো
মানবসমাজই অন্তঃসার।

আমরা আলোর দিকে চেয়ে কথা বলি।
সিংহ পঙ্গপাল থেকে মানুষ স্বতন্ত্র জীব তবে
তার পর ক্রমে আরও ঈশ্বরের দিকে চ’লে যায়
আমাদের সকলেরই সেই এক বিকল্পের মুখে যেতে হবে।

মুক্তি নাই এই স্থির কিমাকার বদনের থেকে
স্বর্ণ, নারী, সাদা ঘোড়া, কামরাঙা সূর্যে ছড়িয়ে
আমরা রয়েছি জেগে জীবনের অবিকল অকৃত্রিম তালে
লুণ্ঠনের ঊর্ধ্বে উঠে— নিয়মিত ডিভিডেন্ড দিয়ে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা