কয়েকটা নতুন পুস্তক
বলেছিল কয়েকটা নতুন পুস্তক দেবে তাক থেকে পেড়ে
তার সাথে কয়েকটা পাঁউরুটি দেবে না কি
শুষ্ক শেয়ালের মতো কৌতূহলে চলেছি— একাকী
ধূসর লোমের থেকে সব-শেষ চানাচুরগুলো ঝেড়ে
মনে হয় গৌরীশঙ্করের চূড়া আছে অপেক্ষায়
কোথাও সমুদ্র যেন ফুঁসিছে কেবল
মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায় চিল অবিরল
কী-একটা হবে যেন না-জানি-কোথায়
কিংবা কোনও সংঘটনে পৃথিবীর সব দর্শক
জড়ো হয়ে গেছে যেন শতরঞ্চি— চাটাইয়ের ‘পরে
তাম্বুর ছিদ্র থেকে ব্যাপারটা দেখিবার তরে
আছি মোরা কয়েকটি প্রত্ন-বিচারক
অনেক দেখেছি মোরা— তবুও প্রতিটি ভোর
পুরোনো ভোরের মতো আদপেই নয়
প্রতিটি সন্ধ্যায় ক্লান্ত দালাইলামা’র মৃত্যু হয়
লামা’রা সকালবেলা নবজাত শিশুটির গন্ধে বিভোর
আমি সেই সকালবেলার আত্মা টের পাই
চেয়ে দেখ ঝাঁপ দেয় কী প্রতুল উচ্চ মঞ্চ থেকে ঐ সন্তরণকারী
কিংবা কেউ ট্রাম’এ চাপা পড়ি-পড়ি ক’রে তবু ধুলো-বালি দেহটাকে ঝাড়ি
ফুটপাথে ফিরে এসে কেঁদে-কেঁদে ঠিক ক’রে নেয় নেকটাই
মুখে তার সে কি রক্ত— চেতনার— গাঢ় আত্মপ্রেরণার
সে কি ভয়— সে কি লোভ— সে কি ভালোবাসা
মনে হয় এই সব ইলেকট্রোন’এ সৃষ্ট হয় কর্নিশের চড়ুইয়ের বাসা
কিংবা নক্ষত্রেরা করে নব-নব জ্যামিতির প্রতিভা প্রচার
কোথাও রয়েছে কিছু মনে হয়: মানুষের অর্থনীতি সে-জিনিস?
মানুষের ধর্মপ্রীতি? রণকামানের কোলাহল?
যত দূর চোখ যায় মরুভূর বালুকা কেবল?
হাজার শিশি’র গায়ে কা’রা যেন দিন-রাত লিখিতেছে ‘বিষ’?
কা’রা লেখে? সারা-রাত বিছানায় তাদের চাদর
ঘুমের ভিতর দিয়ে মৃত্যু পায়? মৃত্যুর ভিতর দিয়ে ঘুম?
জানালায় সারা-রাত সোঁ-সোঁ ক’রে বহিতেছে ধূসর সিমুম
ভোরবেলা জেগে উঠে মনে হয় কলমের ডগা (যেন) বহু দিন নিরক্ষর
অনেক দেখেছি মোরা— তবুও প্রতিটি ভোর
পুরোনো ভোরের মতো আদপেই নয়
প্রতিটি সন্ধ্যায় ক্লান্ত দালাইলামা’র মৃত্যু হয়
লামা’রা সকালবেলা নবজাত শিশুটির গন্ধে বিভোর
কোথাও হতেছে কিছু মনে হয়— ঘুম ভেঙে নাগার্জুন দাঁড়ায়েছে এসে
মোটরের অ্যাক্সেল’এ (ব’সে থেকে) ঘুরিতেছে যেন তার পিঁপড়ের মতন আমোদ
আজও সেই?— আমরাও ভাসিতেছি যেন জলমগ্ন অবরোধ
হে নিমগ্নপ্রায় ভিড়, নিউম্যাটিকের মতো চল ভেসে
মনে হয় গৌরীশঙ্করের চূড়া আছে অপেক্ষায়
কোথাও সমুদ্র যেন ফুঁসিছে কেবল
মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায় চিল অবিরল
কী-একটা হবে যেন না-জানি-কোথায়
সবাকার মুখে রক্ত চেতনার— গাঢ় আত্মপ্রেরণার…
প্রান্তরের কিউই’র বাসা?
নব-নব নিয়তির প্রতিভা প্রচার…।
Comments
Post a Comment