বিতর্ক

সে এক সময় ছিল দিনগুলো ভেসে যেত তেজস্ক্রিয় সারসের মতো
তার পর মৃতদার হয়ে গেল তোমাদের সবার পৃথিবী
কোনও-কোনও পাখি থাকে সহজেই জীর্ণ করে প্রাথমিক আশা
একটি ঠ্যাঙের পরে বিশাল বলের মতো ধবল দেহকে রাখে
বাকি ঠ্যাং তুলে দেয় হৃদয়ের স্তব্ধ কক্ষে—
সেইখানে পীড়া আছে;— পৃথিবীর সব ওষধির বুকে
প্রশান্তি পেয়েছে লোপ বহু দিন— এ-জীবন
অনন্তের জলাভূমি— চারি-দিকে অজস্র শরের সূচ
রৌদ্র বৃষ্টি বিদ্যুতের সুগম্ভীর প্রাণায়াম
যে-বেদনা— যেই বোধ প্রবেশ করিতে চায়
মস্তিষ্কের স্তিমিত স্থবির পেশি
অশ্লীল পরির মতো দুয়ার খুলিতে আছে— তাহাদের তরে
মনে হয় দূর সমুদ্রের থেকে
প্রভুভক্ত কুকুরের সাদা মুখ ঘরে
ফিরিবে কি— সকলকে রুখে দেবে?

সুকঠিনতম, প্রভু,
বৈদুর্যমণিই অন্ধকার
সূচের বিবর দিয়ে অনায়াসে হাতি ঢুকে চ’লে গেছে যার।
(সূচের বিবর দিয়ে যার— অনায়াসে—
হাতি ঢুকে চ’লে গেছে)

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা