সন্দিহান

তখন আমি বুঝে নিলাম
এই যে আকাশ তারা
নীল ময়ূরের এই যে পেখম
দেবতা— ইহারা
তোমার হাতে পেয়েছে রূপ— পেয়েছে রস— জয়
তবুও তোমার হাত কি, চিলের কঠিন থাবার মতো নয়

নীল সাগরের মতন ক’রে গড়লে তুমি
কীট পাখিদের প্রাণ
সহজ— অবাধ,— প্রশ্ন তারা করে না ক’
(আমি মানুষ)— আমিই সন্দিহান
তোমার হাতে…
তবুও বুকে খটকা জাগে— বেদনা পাই— ক্লান্ত হতে হয়

অশথ তমাল দেবদারু ঝাউ
এদের আদিম স্বর
এক আধ রাতে ঠেকে পড়ে
ব্যথায় পরস্পর
নদীর মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে অন্ধকারে শীতে
আস্তাবলের ঘোড়ার মতো ছায়া তাদের নদীর ছবিতে

এই পৃথিবীর আস্তাবলে
আমরা অনেক ঘোড়া
সারাটা রাত ঘোলাটে চোখ
মাখম মাছি ফোড়া
জোনাকিরা বোঝে না তা, নক্ষত্রেরা জানে না ক’ তাহা
কে এঁকেছে এই ঘোড়াদের— এই ঘোড়াদের, আহা!

অনেক ছবি এঁকেছে যে
চাঁদ— নদী— খেত— নীড়
চমরি গাই, প্রজাপতি
তোমার হাতে পেয়েছে রূপ, পেয়েছে রস— জয়
তবুও তোমার হাত কি, চিলের অবোধ থাবার মতো নয়!

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা