যদি অভিভূত হতে দেই

আজ যদি অভিভূত হতে দেই আমার নিয়মাধীন ভেবে
আমার এ-হৃদয়কে নির্ঝরের জলের মতন
তবে সেই বরফকে ঝরনার রূপে ভেঙে দেবে
যদিও এ-পৃথিবীর রৌদ্রের গড়নপেটন
ঝাবুকের ডালে ব’সে থেকে তবু দুইটি শকুন
আমার নিক্কণ শুনে হেসে কেঁদে হয়ে যাবে খুন।

এখন যুগের গালে চুন আর কালি
ব’লে যায় বালি আর সূর্যের ঘড়ি
কেউ যদি উচ্চারণ ক’রে যায় থোড়-বড়ি-খাড়া
নির্ঝরের জল তাকে থোড়-খাড়া-বড়ি
ব’লে উচ্চারণ করে— ব’লে উচ্চারণ করে খাড়া-বড়ি-থোড়
শতাব্দীর শোরগোলে তার এ-রকম গোলশোর।

তা হলে এখন ভাষা সমীচীন নির্জন ইঙ্গিতে
হয়ে থাকে বরফের বল্মীকের মতো
আমরা দু’ জন সেই স্তূপ খুলে যদি কথা বলি
প্রমাণিত হয়ে যাবে মূঢ়তাবশত
আমরা দু’ জন ভালোবাসাবাসি ক’রে বলেছি অপরিমেয় কথা
এখন বৃশ্চিকে সূর্য— শকুনের অগাধ ক্ষমতা।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা