অনেক ধানের গুচ্ছ

অনেক ধানের গুচ্ছ এইখানে গান করে— অফুরন্ত রৌদ্রের ভাঁড়ার
এইখানে;— পৃথিবী এখানে চিন্তা ব্যথা নয়— বাসমতী ধানের আঘ্রাণ
অনেক রঙিন গল্প বলিতেছে রৌদ্রে ব’সে পাড়াগাঁ’র ভাঁড়

দুই পা বিছায়ে ব’সে ঠেস দিয়ে নটকান মেঘের শরীরে:
আমরা ধানের মদ— তরমুজ মদ— দিয়ে গ’ড়ে তুলি প্রাণ
এইখানে;— মানুষ র’ব না আর,— এক দিন ফসলের ভিড়ে

আমরাও সোনা হয়ে পোহাব কার্তিক-রোদ আকাশের নিচে
রূপসি বাতাস সব দুপুরের সুপুরি’র সারি বেয়ে ভেসে
গোল হয়ে ঘুরে-ঘুরে নেচে যাবে— আমরা নাচিব তার পিছে

আমরা অজস্র ধান আশ্বিনের কার্তিকের অবিরাম খেতে
আমরা ধরিব গান রৌদ্র রঙ চিল হাওয়া নদীর উদ্দেশে
পৃথিবীর পথ থেকে ডানা মেলে আকাশের নীল পথে উড়ে যেতে-যেতে

মেঘের আঁজলা ভ’রে বৃষ্টির ধূসর ঘন মদ তুমি দিতে পার যদি
দিয়ে দিও, হে আকাশ,— চির-দিন আমরা মাতাল
যেইখানে জন্ম লয় জলসিড়ি ধানসিড়ি নদী

অজস্র জলের মদ পৃথিবীর প্রবাহিত রক্তের মতন
যেইখানে; ছিঁড়ে ফেলি এক দিন মানুষের শরীরের জাল।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা