এখানে সান্ত্বনা কেউ পায় নাই
এখানে সান্ত্বনা কেউ পায় নাই— জেনেছে বিভ্রম
কোনও এক দূর উপত্যকা থেকে ক্রমে এসে— এইখানে
সেই সব উপত্যকাদের স্মৃতি বাতাসের মতো যেন কানে
গেয়ে যায়: হে মানুষ, কত দিন তুমি আর র’বে চিন্তাক্ষম—
অশরীরী সেই স্থির দানবকে ডেকে তবু বলি
আরও কিছু কাল তুমি, মহীয়ান, স’রে থাক দূরে
নদীর সচ্ছল জলে— হেলিওট্রোপের মতো নিরেট দুপুরে
অথবা চাঁদের শিঙে চ’রে সব ধবল মেঘের অলিগলি
চেয়ে দেখ— কেমন প্রশান্ত ভাবে শস্য হয়ে যায়
স্বােপার্জিত গরিমার শুরু আর শেষ
কোথাও নেই ক’ আর— নিসর্গের কেন্দ্রে থেকে স্বাভাবিক, সম্পূর্ণ আবেশ
এই সব;— মানুষের কুয়াশার অসারবত্তায়
কেন তুমি দূর বাতাসের মতো এক ধ্বনি
নিয়ে আসো;— যেই দিন অনাদির অ্যামিবা’র স্রোতে
আমাদেরও মননের জন্ম হল হয়তো সে-সব প্রাঞ্জল ধূমা হতে
সেই থেকে আমাদের মোম ও আরণি
কেবলই লিখিত হয় অগ্নির অক্ষরে
কোথাও রয়েছে গুহা— ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের ভিড়ে
নরকের চেয়ে বড়ো নিজস্ব তিমিরে
জোনাকি’র আলো আছে। দূরতর আকাশের নক্ষত্রেরা নড়ে
বাঘিনি’র আঁখিতারকার মতো অনন্য আবেগে
তবু তারা বেগ নয়; শান্তি সব; মানুষের অধীর মনন
অনেক অদ্ভুত সূচিশিল্পক্রম এঁকে বহু ক্ষণ
বিমূঢ় হাসির মতো লেগে থাকে সন্ধ্যার দ্রুততম মেঘে।
গভীর কঠিন এক কাজ তার রয়ে গেছে হাতে
রয়ে গেছে; যেমন সাপের চোখে ক্রূরতর মায়াবীর হাত থেকে ধূল
প’ড়ে গেলে তবুও সে কৃমি নয়— ভোরের নিজের আলো অমল, নির্ভুল
অন্য দূর সুস্থ এক দ্রুত দানবের আঁখিপাতে।
Comments
Post a Comment