পরিপূর্ণ প্রেমিকের মতো

আমি এক দিন এই পৃথিবীতে পরিপূর্ণ প্রেমিকের মতো
দেখেছি জলের স্বচ্ছ অন্তরঙ্গ মহানুভবতা
হেসেছে আমাকে দেখে ভোরবেলা (পৃথিবীর) নদীর ভিতরে
যেন সে অনেক দিন আমাদের এ-রকম পুরাতন গ্রহে (বেঁচে থেকে)
বিবিধ প্রাণীর গল্প অন্ধকারে— আলোর ভিতরে
শেষ হলে— আধো-শেষ হয়ে গেলে— মানুষের মূর্ত ইতিহাসে
প্রতিশ্রুতি দেখেছিল—
তার পর কল্পনায় ভেবেছিল কোনও এক প্রবীণ দুয়ার
এ-বার উন্মুক্ত হবে— ক্রমে-ক্রমে— মায়াবীর বলে
হয়তো ততটা নয়— যতটা সে মনীষীর প্রাজ্ঞ ইশারায়
তাহার নিপুণ প্রাজ্ঞ পরিচায়িকার স্থির হাতে
ঘনিষ্ঠ আঘাত পেয়ে— তার পর নদীর কিনারে গুল্ম, উলুখড়, ঘাস
নদীর ভিতরে মাছ— সূর্যের সপ্তক স্নিগ্ধ বর্ণময় ডোরাকাটা মাছরাঙা-পাখি
বাবুইয়ের ন্যূব্জ বাসা অন্য এক সত্য সমীচীন
অর্থ পেয়ে যাবে— মানুষের সৃষ্টি ক্রমে সময়ের স্রোতে
একটি প্রলম্বমান, চীয়মান ধূসর গ্রহের
করুণা, রক্তিম ধূলা, ধুলো, ভয়, করুণার চেয়ে
অর্থবান হবে ব’লে নদীর জলের ‘পরে রাজহংসী সকালবেলায়
দুপুরে— বিকালবেলা— গোধূলির রঙের ভিতরে
প্রদীপের প্রতীকের মতো আজও— হয়তো-বা নিমীল লণ্ঠন
ধীরে-ধীরে নিভে যায়— যতই শতাব্দী আরও অগ্রসর হয়
সর্বদাই স্মরণীয়তর এক দীর্ঘ আয়োজনে
অধিক বৃহৎ এক গাগরি ডুবায়ে ফেলে জল
আলোড়িত ক’রে যায়— স্পর্শাতুর জল
তবুও কাহারও স্পর্শ পায় না ক’
সর্বদাই অন্ধকার আকাশের নক্ষত্রের রোলে
সাড়ম্বর দেখে শুদ্ধ জ্যামিতির— গণিতের— ত্রিকোণমিতির
কোথায় রয়েছে তবু গতি আর পূর্ণ পরিণতিদের
গোলাকার ক্লান্ত দাগ ছাড়া কিছু হে ধূর্ত শ্বাপদ
শিকারির মুখ থেকে ছুটে গিয়ে সর্বদাই শুধু
গোলকধাঁধার পথে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে— মেরে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা