এইখানে গ্রামের প্রান্তর

এইখানে গ্রামের প্রান্তর ধ’রে চ’লে যায় শ্মশানের দিকে
কেউ-কেউ;— অদ্ভুত বৃষ্টির রাতে— কুয়াশার ক্বাথ-ভরা শীতের দুপুরে।
তার আগে ইহারাও যুদ্ধ ক’রে গিয়েছিল— সারা-দিন-রাত
বিস্মৃত ভাঁড়ের মতো নিয়েছিল— দিয়েছিল রসিক আঘাত
শজারুর মতো শৌর্যে বিদীর্ণ লেপের নিচে ঢুকে
নেড়েছিল এক-আধটা বল্লম
প্রয়োজন অনুভব করেছিল কড়া পাহারার।
(দেখেছি নগরে আমি ছায়া পড়ে মখমল-পর্দার গায়ে
মূষিক অঞ্জলি পেতে কেউ-কেউ নক্ষত্রের কাছে ভিক্ষা চায়:
‘আমরা প্রমূর্ত অন্ধ, হে লুব্ধক, বেলোয়ারি আলো
এই দেশে।’ সেইখানে জীবনের মীমাংসা ফুরালো)
ইহারা তেমন নয়;— বোমাবিস্ফোরক কিছু নাই আজও ইহাদের দেশে—
আজও নাই; পরোয়ানা জারি হয় গোয়ালে গোরু’র মতো কেশে
সারা-রাত;— বহে যায় খুলির গহ্বর দিয়ে অনন্ত সময়ের নদী
প্রস্তর-যুগের থেকে ডাইনামো’র শতাব্দী অবধি
ভূস্তরের ডাইনোসর কঙ্কালের মতো চুপে নেড়ে
ইহাদের;— যখন ইহারা প্রেমে সম্বােধন করে সময়েরে
দার্শনিক জন্মাতেছে ইহাদের মুখে চেয়ে
ইতিহাস এই সব মানুষকে মূল্যবান আঘাটার মতো গেছে পেয়ে
মহাপৃথিবীর পথে উল্কিপরা এই সব অভিভূত দেহ
শুয়ে আছে;— হয়তো-বা ঘুম শুধু;— হয়তো-বা প্রাণ
নাই আর; তবু এক অগোচর পাশুপত যুদ্ধে সেঁধে গিয়ে
বিশিষ্ট সৈন্যের চেয়ে দূর নগরীর
ঢের বেশি ধর্ষিত ম্লান— মাঘের বৃষ্টির রাতে অগ্নিময় লিঙ্গশরীর।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা