দেখেছি নদীকে

এখন ধানের সোনা চ’লে গেছে ভাঁড়ারের ঘরে
এখন চড়ুই আর লাফাবে না মাঠের ভিতরে
এখন জলির খেতে এসেছে কুয়াশা
এক জোড়া শুঁয়োপোকা জীবনের ভেলভেট-রোদ ভালোবাসা
সন্ধ্যার শিশিরে গেছে ভুলে
শামুকের মতো সূর্য মেঘের বেগুনি ঢেউয়ে দুলে
চ’লে গেছে; একরাশ দাঁড়কাক শালিখের ভিড়
সঙ্গে ক’রে ল’য়ে গেছে— তা হ’লে সাহস সাধ স্বপ্ন— স্বপ্ন— এই পৃথিবীর
এখন ঘুমাল সব; এখন যে মাঠে-মাঠে কুয়াশা শিশির
সকল সৌন্দর্য স্বপ্ন— সাধ— সাধ এই পৃথিবীর
এখন ঘুমাল সব; ঐ দেখ তবুও নদীর
শান্তি নাই শান্তি নাই,— সাদা ঘোড়া কবে যেন চলে ক্রমাগত
কুয়াশার থেকে দূর কুয়াশায়— রুক্ষ এক নাইটের মতো
কোন যেন গ্রেল— কে যে প্রেম— কোন সৌন্দর্যের দিকে
অনেক আঁধার রাতে দেখেছি নদীকে
ছুটে যেতে

অনেক গভীর— গভীর গাঢ় রাতে
আমিও নদীর সাথে
চ’লে গেছি— দূর— দূর— আরও ঢের দূর
তারপর মনে হয় যেন কোন হরিণের খুর
যেন কোন হরিণের খুর এসে নদীরে ছুটায়ে নেয় কোন চাঁদ চাঁদমারি পাহাড়ের দিকে
যেখানে সাহস স্বপ্ন যেখানে সৌন্দর্য সাধ বেঁচে থাকে
দেখেছি নদীকে
ছুটে যেতে…

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা