মনে ভেবে গেছে সব

মনে ভেবে গেছে সব: অনেক আশ্চর্য শান্তি রেখে গেছে
তাদের শিয়রে ছিল রাত্রিবেলা হেমন্তের চাঁদ
দিনের প্রখর রৌদ্রে তাহাদের হাতে
সূর্যের রশ্মি ছিল
সুশৃঙ্খল বুনুনির মতো যদি মনে ক’রে নেয় তারে
মনে ক’রে নিতে পারে অনন্ত অদূরবর্তী শুক্রাচার্য
প্রভাত ও বিকেলের মনস্বী নক্ষত্র

তাই তারা সূর্যসাগরতীরে বালির মতন
সোনালি বিস্তার গ’ড়ে চ’লে গেছে
ভুল ক’রে, বধ ক’রে, প্রতিভার প্রকম্পনে, প্রেমে
সেইখানে পিরামিডগুলো
প্রতিধ্বনিকে ফের ধ্বনিতে ফিরায়ে দেবে ব’লে

(ধ্বনিতে ফিরায়ে দেয় তবে। আহা)
মধ্যন্দিন আগুনের নিচে পূর্ণ বৃত্তের আকারে
যারা নাচে— পরিধির শুরু আর সীমানারে খুঁজে
যাহাদের হৃদয়ের নিস্পাপ কামনা কালো করোটির মতো উঁচু উঠে
উঠে যায় মাথার উপর দিয়ে রসাতলে;
মানুষের চামড়ার নিচে যারা বানরের মতন কঙ্কাল
যাদের দন্তিল হাসি ওষ্ঠহীন
অদ্ভুত গলিত ব্যাধি যাহাদের শরীরকে হাসাতেছে শিশুর মতন
(অভিশাপহীন, শিশু; সত্তার সমগ্র অন্ধকার;)

প্রখর আমোদে তারা সরীসৃপ-রৌদ্রের মতো রোলে ঘুরে
চেয়ে দেখে চারি-দিকে অথর্ব ব্যাপ্তির মতো স্থির,— পিরামিড
সোনালি সৌন্দর্য দেখে বালিদের— যত দূর চোখ যায়
অখল, অনন্ত সব সমুদ্রের তিতির-ধূসর নিস্তব্ধতা।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা