আমাদের এই ঘর
আমি জানি আমাদের এই ঘর অন্ধকার হয়ে প’ড়ে র’বে
হয়তো-বা অদূরের কোনও এক মূঢ় ভবিষ্যতে
আমাদের এই ঘর ভ’রে যাবে অন্ধ পরিজনে।
সোনালি খড়ের ‘পরে সেই দিনও পেঁচা এসে বসিবে নীরবে
এক বার— আধ বার; তবুও বিলীন হবে এ-সব প্রতীক
সদর বাজার থেকে লুণ্ঠিত স্ফূর্ত জনমতে
শ্রেয়তর মেধাবীর অনর্গল জাপানি লণ্ঠনে
জোনাকি’রা লুপ্ত হবে এই সব খদিরের বনে।
আয়ুর প্রশান্তি, জানি, ক্রমে-ক্রমে নষ্ট হয়
কোনও এক উন্মাদনা রয়ে গেছে নিখিলের বিভক্ত বাতাসে
কড়াইশুঁটি’র ফুল খাদ্য হয়ে অবশেষে ফ’লে যায়।
ছ্যাকরাগাড়ি’র জীর্ণ ঘোড়ারাও ছুটে আসে কাহিনির কান্তারের ঘাসে
আমাদের প্রাঙ্গণের প্রান্তরের অন্য এক দ্বিতীয় বিস্ময়
কাহারও চোখের তরে নয়।
ড্রেনপাইপ পরিষ্কার করে যারা— আর যারা গম্বুজের দর্পণে আলোক
গেঁথে নিয়ে জীবসিদ্ধ— তারা ধর্মাশোক, চণ্ডাশোক
স্বর্ণ-কৃকলাসদের মতো সব অগ্নির ভিতরে অক্ষয়।
Comments
Post a Comment