ধবল মেঘের থেকে
ধবল মেঘের থেকে বিচ্ছুরিত আলো
অন্য এক অন্তঃসার নিয়ে
অইখানে পিপুলের মাথার উপরে
দু’-চারটে কালো ডাল গিয়েছে জ্বালিয়ে
বিকেলের আলো প্রায় ম্লান হয়ে ওঠে
যেন ক্রমে হবে সব সঙ্কল্পের শেষ
বৃত্ত এক ঘুরে এসে চির-দিন যেন
নিজেকেই নিজে করে পথনির্দেশ
অইখানে কয়েকটি কাকের সন্তান
নীড়ের ভিতরে ব’সে আলোচনা করে।
হয়তো-বা সৃজনকে— সৃজনের বৃত্তকে
অথবা যে-মধ্যবিন্দু র’য়ে গেছে বৃত্তের ভিতরে
কিংবা যেই চিরন্তন নাস্তি আছে
সেই সব মধুর জল্পনা
জাফরান আলোকের শুষ্কতায়
প্ররোচিত করে না ক’ তাদের রক্তের উত্তেজনা
বরং নিস্তব্ধ এই সফল সময়ে
যখন বিজ্ঞান কিছু প্রতিবিম্ব চায়
তারা যেন নিবিড় সাহায্য নিয়ে নিখুঁত নির্মুক্ত মমতায় উপনীত হল
মানুষের প্রশ্নলোকে— আপন আশ্চর্য মীমাংসায়
যেন যত সূচি দিয়ে বিদ্ধ ক’রে দেই আমি তাকে
তবু তার নিরঙ্কুশ ভাস্বরতা স্থির নিরাকার আছে
কিংবা এই পাখি ক’টি: তুলোর বলের মতো
কিংবা এই দীর্ঘ ঋজু গাছে
যে-সব প্রশাখা ঢের উঁচু পরিণতি পেয়ে
ধ’রে আছে অর্ধেক জাগ্রত এক নীড়—
ভাবিতে-ভাবিতে আমি হয়তো ঘুমাতে পারি
হয়তো হৃদয়ে হাত রেখে দিয়ে সময়ঘড়ির
হৃদয়ের ‘পরে হাত রেখে দিয়ে— সব কাজ শেষ ক’রে— দু’-চারটি বিভাষিত নক্ষত্রের পানে
আজি অন্তিমের সব বিমলিন সূত্র নিয়ে হাতে
তবু কোন্ সুর-প্রকরণ বুনন করিব আমি, অধীর নর্তকী,
আমাদের প্রকৃত সামগ্রী সব পুরাতন প্রাণ আর রক্তমূল্য আধাআধি চিনে তুমি চাও না দাঁড়াতে
তুমি শুধু অগ্রসর হয়ে যাও অস্পষ্ট ঘূর্ণনে
আধাে-অচেতন আমি কপিশ নটীর সাথে ঘুরে
কাকের সন্তান, আলো, মেঘ— সব স্থির— স্থিরতম প্রতিভায়
দেখা যায় বহিঃপ্রকাশের সূর্যে দেশে— আমি ডুবে গিয়েছি মুকুরে।
Comments
Post a Comment