এখন তোমার চিত্ত

এখন তোমার চিত্ত সততার মতো ক’রে নাও
তোমার কণ্ঠের শব্দ যেন এই পৃথিবীর শব্দদের সাথে
চাতুরি করে না আর— যেই ভাষা এক-দিন ব্যবহার করেছিলে তুমি
স্পষ্ট লোষ্ট্রের মতো আজ তাহা স্পর্শসহ হাতে
কিছু নয়; নতুন অর্থবোধ প্রতিভাত হয়ে ওঠে এস. ও. এস. টেলিফোন-ভিসনের রাতে
আজ এই; রাত্রি নবীন হয় তথাপি এখন
মাটির প্রতিজ্ঞাপাশ অকৃত্রিম হয়ে আছে প্রান্তরে-প্রান্তরে
অনেক অমর ঘাস রাতের হাওয়ায় লেগে অবিশ্বাস্য সুরে (শব্দ করে)
(শব্দ করে)— আরও দূরে চ’লে গেলে ট্রাম-স্টপ যেন তার জননীর ঘরে
শুয়ে আছে, মনে হয়— জননীবিহীন সব নগরে-নগরে।
সাত ভাই কৃত্তিকা’র চোখ ঘেঁষে রাত্রির ঘন সাদা মেঘ
জেনে নেয়— হয়তো-বা জেনে নিত আপনার আলাদা আবেগ
আমরা তবুও তাকে উপমার মতো ক’রে দেখে
উপমা খসায়ে তার বিষয়কে নিয়ে আমি ডেকে
চাঁদের আলোয় সাদা মুণ্ডময় এরোপ্লেন থেকে
অপর মেঘকে তুলে সিঁড়ির মতন ঘেরা আকাশের মেঘের ভিতরে
মানুষ এখন তার নিজ নিসর্গকে সৃষ্টি করে
প্রকৃতির চেয়ে বেশি তাড়নায় মানুষ ও প্রকৃতির তরে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা