মেঠো ইঁদুরের হাত

ক.
মেঠো ইঁদুরের হাত— দুই হাত
অসম্ভব শালীনতা ভরে
পড়ন্ত রোদের সোনা সহসা ছড়ায়ে দিল
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তরে

সাদা ভোর শুরু হয়েছিল তার
সন্ধ্যা এল শিশিরের স্বাদে-যবে-ঘাসে
এই সব নির্বিঘ্নরা। তবু তারে ব্যথা দাও
মৃত্যু হবে বাতাসের ফাঁসে
তোমারই মাথায় যেন অবচেতনার ধোঁয়া নেমে আসে।

এই তবু নির্বিঘ্নতা তার। ধূসর জলের মতো।
জলপায়রার মতো ধুসর জলের ‘পরে ভেসে
রাত্রির বেতের কাঁটা নাক দিয়ে খুলে
মাখনের মতো ম্লান ফলের ইশারা ভালবেসে।

খ.
মুড়ায় নি মাথা— প্রেম কি জিনিস ভেবে
নক্ষত্র, পুস্তক আর বিচিন্তার ক্রোড়
খুঁড়ে-খুঁড়ে পাতালের দিকে গেলে
মেঠো ইঁদুরের ডাকে ভোর

এই দেশে নেমে আসে
অনেক গোলাপি মেঘ নিয়ে
অথবা আমারই চোখ হীরক উজ্জ্বল
এক সধবার হাত ইস্পাতের আঘাত হারিয়ে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা