শেয়ালের মৃত্যু

তার দিকে চেয়ে দেখ— সে যেন আলোর মুখে হতেছে পতিত
হলুদ পাতার মতো কোনও এক হেমন্তের বিকেলবেলায়
বাতাসের মলিনতা ঘিরে এক সচকিত উল্কির আলোক
লেগে থাকে;— শিকারের অবসরে বার হয়ে তখন জন্তরও মুখে
মৃত্যু— আর মরণের আশ্চর্য আমোদ
শেয়াল নিজেকে ভুলে চ’লে যেতে পারে যেন সময়ের ইশারায়
কোনও এক ধূর্ত বামনের হিম ধূসর মুকুরে যেইখানে
আপনার অবয়ব তিসির চেয়েও আরও ক্ষুদ্র হয়ে গেছে
আকাশের চেয়ে বড়ো প্রান্তরের মুখে এসে ধরা প’ড়ে গিয়ে।
তখন নিবিড় কৌতূহল তাকে পেয়ে বসে— কাঁচের মতন দুই চোখ
বুজে আসে— অবহিত হৃদয়ের কাছ থেকে সমাচার পেয়ে
যেন এই গোল— মুখোমুখি— গোল— পৃথিবীর পার্বতীয় পথে
হৃদয়যন্ত্রের মতো সময়ের ধ্বনির ভিতরে আর কিছু নাই
কুজ্ঝটিকা— নদী— মাঠ— বালকের হাত থেকে একটি উৎক্ষিপ্ত ঢিল ছাড়া,
যে-কোনও মৃত্তিকা যেন বিবরের মতন তখন— যে-কোনও মুহূর্ত ঢেউ,
চীনের গোলকধাঁধা, জাপানি লণ্ঠন, রক্ত,— অসংখ্য উদবিড়ালের গুপ্ত নদী,
যেন কোনও ব্যঙ্গময় তিতির নীরবে এসে আবিষ্কার ক’রে যেতে পারে
শূন্যের ভিতর থেকে কুয়াশায় ক্রমে আরও শৃঙ্খলার মতো
শেয়ালের দেহ চুপে ঝরিতেছে মৃত দেহে—
হলুদ পাতার মতো, পরিপক্ক আঞ্জীরের মতো।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা