এখন ভুলেছি সব / শকুন

এখন ভুলেছি সব— ভাল আছি— বৈতরণী নদীটির পারে
আমরা রয়েছি ব’সে চুপে-চুপে সারি-সারি শকুনের মতো
অথবা নদীর পারে সহস্র-সহস্র মাইল ধ’রে অবিরত
চরিতেছি— কেন যেন; স্মৃতি নাই— চিন্তা নাই— শুধু অন্ধকারে
চরিতেছি; ভয় নাই— ব্যথা নাই— কিছু নাই— নদীর কিনারে
উড়িতেছি— উড়িতেছি; লক্ষ-লক্ষ কোটি-কোটি শকুন সে কত
ক্লান্তি নাই— ক্লান্তি নাই— বৈতরণী নদীর তরঙ্গ ক্রমাগত
শান্ত হয়; শকুনেরা জীবনের শেষ জ্বালা ঢেউয়ে-ঢেউয়ে ঝাড়ে

ঝেড়ে ফেলে; মরণ কি ভাল নয়?… আমরা হয়েছি কবে মৃত
আমরা এসেছি চ’লে শেষ দেশে— বোর্নিওর সমুদ্রের থেকে
মাঝিরা দেখেছে চেয়ে এক বার— সন্ধ্যার সোনালি পাম্-সারি
তাদের নিয়েছে ডেকে তার পর— এখনও হয় নি ব্যবহৃত
জীবনের সাধ আশা তাদের— মৃত্যুর মুখের ছবি দেখে
আলো গ্যাস ধোঁয়া কোলাহলে তারা চ’লে গেছে তাই তাড়াতাড়ি।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা