প্রচুর গভীর জ্যোৎস্নায়
প্রচুর গভীর জ্যোৎস্নায়
আশ্বিনের— জলাঙ্গির অপরূপ মুখ দেখা যায়
নদীটির পাশে
নিবিড় বিশাল এক জামগাছ উড়ু-উড়ু করিছে বাতাসে
আশ্বিনের মধু মধু মাসে
কতগুলো শাখা
যেন কালো মেহগিনি জ্যোৎস্নার নদীর মুখে মাখা
তারই এক শাখার উপরে
দেখিয়াছি গাঢ় রাতে দু’টো মৌন তোতা খেলা করে
যেন কোন পরীরানি আঁকিয়াছে ছবি
জাদুর আকাশে ব’সে যেন প্রেত-কবি
দেখাল আমারে এই ছবি
কবেকার কথা
আজও তবু অন্ধকারে সে-নদী জ্যোৎস্না আর পৃথিবীর উজ্জ্বল তন্ময়তা
অদ্ভূত জিজ্ঞাসা আনে প্রাণে
মরণের আংরার পাশে নবজীবনের ঘ্রাণে
কেঁপে উঠি আড়ষ্ট কৌতুকে
জ্যোৎস্নার বাতাসে যেই পরী থাকে অশ্বত্থ-ঝাউয়ের বুকে-বুকে
সন্দিহান অবসন্ন মানুষের তরে
যেই সব পরী থাকে— তাদের দুর্মদ আশা নব-নব ইঙ্গিতের স্বরে
হৃদয়ের ঘুণধরা শাখাগুলো গুঞ্জরে-মর্মরে
যদিও আঁধার ঘর— কেউ নাই ঘরে
(তাদের দুর্মদ আশা নব-নব ইঙ্গিতের সুরে
অবশেষে এক দিন কুজ্ঝটিকা হয়ে আমি যাব না কি নক্ষত্রের পথে উড়ে-উড়ে)
Comments
Post a Comment