কত বার দেখিয়াছি

কত বার দেখিয়াছি মৃতদের চ’লে যেতে; কোন্ কুয়াশায়
যায় ওরা; কখনও ফেরে না আর; লেবুফুল ফোটে; জ্যোৎস্না নামে
শরতের ধান ঘাস খেলা করে দুপুরের ফড়িঙের গায়
বনচালতার শুকনো পাতার ‘পরে শব্দ হয়; কেউ যেন থামে
চেয়ে দেখি দুপুরের বেজি দূর কান্তারের দিকে চ’লে যায়—

আর কেউ নাই, আহা,— বাজকুড়লের শব্দ কঠিন আকাশে
প্রজাপতি সারা-দিন খুনশুড়ি ক’রে ফেরে; সাথে-সাথে তার
কে রয়েছে মাঠ থেকে মাঠে-মাঠে দুপুরের ঘাস থেকে ঘাসে?
প্রজাপতিটির মনে রয়েছে অনেক সঙ্গী রঙিন ডানার
মানুষ কেউ তো নাই; কেউ নাই দরজায়— উঠানের পাশে।

অন্ধকারে ঘুম ভাঙে— জানালার ফাঁক দিয়ে নক্ষত্রের রাত
দেখা যায়; হু-হু ক’রে ভেসে আসে প্রান্তরের অদ্ভুত বাতাস;
কে যেন এসেছে ফিরে; তবু কেউ দরজায় করে না আঘাত
অভিমানে স’রে আছে? আঙিনায় নেমে দেখি লক্ষ-লক্ষ ঘাস
জোনাকি ধুন্দুললতা— এই শুধু; নাই তার শাঁখা-স্নিগ্ধ হাত।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা