অন্ধকারে তার পর

অন্ধকারে তার পর দ্বার রুদ্ধ ক’রে দিয়ে মনে হয়
এই বার অন্তত ঠেকায়ে রেখেছি আমি রাঙা পৃথিবীকে
এখন মোমের আলোর থেকে উত্থিত সময়
ভৌতিক;— দেয়ালের ‘পরে মৃদু হস্তাক্ষরে লিখে
যেতেছে অস্থির নাম
যেন এক দুরারোহ প্রাসাদের থাম
বাতাসের ফুঁয়ে নেভে,— নক্ষত্রের চেয়ে আরও অন্তহীন কাল থাকে টিকে

দুপুর-রাত্রির ঘণ্টা বেজে ওঠে চমৎকার
মনে হয় গভীর প্রবীণতম— বিবর্ণ পিত্তলে
হয়তো-বা ইহুদি’র সিনাগগ’এ— বুদ্ধ’র মন্দিরে
আমারও মোমের শিখা বিংশতি মশার বেগে জ্বলে
সব ইতিহাস ক’রে ক্ষয়
সৈন্যেরা ঘুমায়ে রয়
তরবার সঁপে দিয়ে পাড়াগাঁ’র বৃদ্ধতম ভাঁড়ের কবলে।

হয়তো-বা কোনও-কোনও সম্রাটেরা হয়ে আছে স্তম্ভের মতন
গেলাসের থেকে জল ফিকে দিলে হয়ে যায় নুন
তবু কেউ ক্লান্তিহীন পরিশ্রমে গড়িতেছে দিন-রাত
ক্রূরতর কিমিতির সন্নিপাতে নতুন আগুন
আমি তবু ভালোবাসি সেই নাশপাতি
কাহারও হাতের তাপে হয়েছে যা বাতি
কেউ ভাবে তিষ্যরক্ষিতা’র চোখ লেগে গেলে হয়ে যেত অদ্ভুত মৃত গুণ।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা