এখন বাতাস আসে

এখন বাতাস আসে ক্ষুরধার কাঁচির মতন।
কেউ-বা অনেক শস্যে পুষ্ট হয়ে ভোরবেলা আজ
হয়ে গেছে অবহিত ভেড়ার প্রতীক; অনেক ধূসর ভেড়া
পামিরের উচ্চতা ঘিরে দূরে সূর্যালোকে।
করতালি দিয়ে বায়ু ব’লে যায়: এই সিংহাসন, এই ময়ূর-আসন
তোমাদের। তাহাদের ঈর্ষা করা যায় তবু যখন অনেক লোম
প’ড়ে থাকে স্তূপাকারে; তাহাদের দেহগুলো অতিকায় কীড়ার মতন;—
তাদের শরীরে সূর্য— নবীন রোমের ক্ষুধা— নিসর্গের চাবি।
এ-রকম বার-বার ব্যবহৃত হয়ে তুমি— তুমিও, হৃদয়,
এক দিন চ’লে যাবে— সোনালি রোমের গল্পে অবশেষে অবসিত হয়ে
নিরুৎসাহে— মাথায় বঙ্কিম শিং এক-জোড়া তৃতীয়ার চাঁদের মতন
খানিকটা জ্যোৎস্না দিয়ে গিয়েছিল পৃথিবীকে
কিন্তু তবু কী দিয়েছে চেতনাকে— অচেতন গড্ডলিকাকে
এই ক্ষুরধার শিং সমীচীন আরবের নাসিকার মতো বেঁকে— ক্রমে
দেখেছে দেহকে তবু— রয়েছে ধারণ ক’রে লাঙ্গুলের মধুর মূর্খতা?
অসীম, অনন্ত ধ’রে এই গোল কথা ভেবে— মরিবার দিন
হয়তো-বা পেয়ে যাবে অমরতা কোনও এক রসিক নারীর
সৌধের দেয়ালে চ’ড়ে— ভূমিকম্পে— অবিলুপ্ত ট্রফির মতন।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা