প্রথম গিয়েছি আমি

প্রথম গিয়েছি আমি মনে পড়ে সেই এক অপূর্ব স্বদেশে
নাবিকের কম্পাসের কাছে তাহা কোন দিকে মনে নেই আজ
সেইখানে জল আছে— নীলাভ আকাশ নিচে ঢালু হয়ে এসে
গেলাসে জলের মতো পান করে ধীরে-ধীরে এক-আধটি সমুদ্রের ঝাঁজ
যখন তা শব্দহীন হয়ে গেছে আকাশের নিজের মতন
সেখানে আকাশ এত স্থির বিচক্ষণ
এ-দিকে সৈকতে ঠেকে হাড়ের রঙের সব নুন
চোয়াল জানুর মতো মাঝে-মাঝে প’ড়ে আছে বালির উপরে
তবুও অনেক চিন্তা ক’রে গাল হয় যদি চুন
মাইল-মাইল সৈকতকে সহসা নিজের মনে আলোকিত করে
(প্রতিটি বিবর্ণ বালি যে যার স্বতন্ত্র আভা নিয়ে)
সেই ভোর মনে থাকে চোখ বুজে আঁধারে দাঁড়িয়ে।

কোথাও মানুষ নেই কোনও দিকে— সাগরের পরগাছা, পুরুভুজ, ভুসি
প্রাণ পেয়ে তুষ্ট নয়— সূর্যের নিকটে
মানুষের মতো কিছু পেলে তারা হয়ে যেত খুশি
গাঢ় রৌদ্রে চেয়ে আছে— দু’ একটি দীর্ঘ নারী আরও ঢের দূর পৃষ্ঠপটে
আকাশে রেখার মতো ধীরে-ধীরে নীলিমায় যেতেছে হারিয়ে
সেই ভোর মনে থাকে চোখ বুজে নরকে দাঁড়িয়ে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা