পৃথিবীর রৌদ্রে

কেমন আশার মতো মনে হয় রোদের পৃথিবী—
যত দূর মানুষের ছায়া গিয়ে পড়ে
মৃত্যু আর নিরুৎসাহের থেকে ভয় আর নেই
এ-রকম ভোরের ভিতরে।

যত দূর মানুষের চোখ চ’লে যায়
উর ময় হরপ্পা আথেন্স রোম কলকাতা রোদের সাগরে
অগণন মানুষের শরীরের ভিতরে বন্দিনী
মানবিকতার মতো: তবুও তো উৎসাহিত করে?

সে অনেক লোক লক্ষ্য অসম্ভব ভাবে ম’রে গেছে।
ঢের আলোড়িত লোক বেঁচে আছে তবু।
আরও স্মরণীয় উপলব্ধি জন্মাতেছে।
যা হবে তা আজকের নর-নারীদের নিয়ে হবে।
যা হ’ল তা কালকের মৃতদের নিয়ে হয়ে গেছে।
*
কঠিন অমেয় দিন রাত এই সব।
চারি দিকে থেকে-থেকে মানব ও অমানবিকতা
সময়-সীমার ঢেউয়ে অধোমুখ হয়ে
চেয়ে দেখে শুধু মরণের
কেমন অপরিমেয় ছটা।
তবু এই পৃথিবীর জীবনই গভীর।
এক— দুই— শত বছরের
পাথর নুড়ির পথে স্রোতের মতন
কোথায় যে চ’লে গেছে কোন্ সব মানুষের দেহ,
মানুষের মন।

আজ ভোরে সূর্যালোকিত জল তবু
ভাবনালোকিত সব মানুষের ক্রম—
তোমরা শতকী নও;
তোমরা তো উনিশ শো অনন্তের মতন সুগম।
আলো নেই? নর-নারী কলরোল আলোর আবহ
প্রকৃতির? মানুষেরও; অনাদির ইতিহাস-সহ।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা