যাযাবর পাখির মতো

যাযাবর পাখির মতো যদি আকাশে-আকাশে বেড়াতাম
এক দিন জানালা খুলে হয়তো আমার ধূসর পালক দেখতে পেতে তুমি
আমি যে আজও বেঁচে আছি— আকাশ রৌদ্র নক্ষত্রের খেলায় আজও যে আমার আনন্দ, বুঝতে পারতে;
কিন্তু তবুও যাযাবর হৃদয় মেলে তোমার জানালায় গেলাম না আমি
কেনই-বা গেলাম না?— শীতল প্রশ্ন প’ড়ে থাকে: আমার হৃদয় কোনও উত্তর দেয় না
বরং ভোরের রৌদ্রে প্রজাপতির ওড়াউড়ি দেখতে ভালোবাসে
তোমার কথা মনে থাকে না আর।

তোমার মুখের রূপ যদি (তিষ্যরক্ষিতার মতো) আজও আমাকে শাসন করত
কিংবা রহস্যময় হাসির সূচ দিয়ে থেকে-থেকে আমাকে বিধে যেত!
কিন্তু অন্ধকার বিরাট খোঁপার মতো কঠিন নিরুত্তর আবরণে কোথায় তুমি তোমাকে লুকিয়ে রেখেছ—
তোমাকে আমি খুঁজবার জন্য বেরিয়ে পড়ি না কেন?

প্রেম কি সোনার সিঁড়ি শুধু নক্ষত্রের পথে নিয়ে যায়—
তার পর হঠাৎ কখন হারিয়ে যায় কেউ জানে না?

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা