নক্ষত্রের রাত্রির মতন

নক্ষত্রের রাত্রির মতন
বিলাসের ব্যসনের মৃত্যু নাই— নাই
এশিরিয়া— নিনেভ— টায়ার— বেবিলন
উজ্জয়িনী বিদিশায় যাহা ছিল, তাই

এখানেও, জন্মেছিও আমি
জ্যোৎস্না আর বসন্তের রাতে
বিস্মিত পায়রা এক যখন তাহার
মৃদু ধীরে ডানার আঘাতে

সব-চেয়ে উঁচু ঐ দেয়ালের ‘পরে
বসে এসে— শহরের সবখানে চাঁদের আকাশ
এই পাখি— আমি যেন চ’লে যাই সে কোন শহরে
যেখানে আমার হাতে রঙ্ নিয়ে খেলিবার ব্রাশ

মদালসা নিয়ে এসে কেড়ে লয়,— বলে
ছবি আর এঁকো না ক’— দেখো না ক’ স্বপ্ন— দেখ চেয়ে
বারবনিতার সাথে বসন্তের জ্যোৎস্নারাত চলে
তবু তার আমাদের সিঁড়ি বেয়ে-বেয়ে

যেখানে চন্দনবাতি মৃদু হ’য়ে আসিতেছে ক’মে
ফাল্গুনের জ্যোৎস্না লাল লাম্পট্যের ঠাঁই
পাতিয়াছে— মিঢ় অ্যালো: গোলাপি সব লোমে
চোখে তার ঘুম নাই— ঘুম নাই— নাই

আমারে সে চেয়েছিল— আমারেই— তাই তার উজ্জ্বল চিতারে
ধবল স্তনের থেকে নামাল সে বসন্তের রাতে
তবু যেন কোন দূর প্রাচীরের পারে
সিংহ ডাকে বেবিলনে— তরবার হাতে

তাই আমি চ’লে যাই,— প্রাচীরের ভাঙা শিঙ্— সোনালি কেশর
জ্যোৎস্নায় ছায়া ফেলে— সমারোহ সমৃদ্ধির স্বপ্ন হিংসা ভয়
চারি দিকে; থিবসীয় ভালোবাসা— পিরামিডে নির্জন কবর
বেবিলন! আজও মৃত নয়!

অনন্ত বিস্ময়! কবে শেষ হয়!
যদিও বিধাতা এসে বার-বার ভ’রে গেছে তার জঙ্ঘা স্তন
গলিত কুষ্ঠের ক্লেদ বসন্তের জ্যোৎস্নায় উজ্জীবিত হয়
তবুও বিদিশা— কাঞ্চী— নিনেভ— নতুন বেবিলন
জীবনের রোমহর্ষ— নগরের বিলাস ব্যসন
আবার নতুন বেবিলন।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা