যখন মৃতেরা দূরে চ’লে যায়

যখন মৃতেরা দূরে চ’লে যায় কুয়াশায় হাওয়ার ভিতরে
অস্পষ্ট মুখের চিহ্ন এক দিন— দুই দিন— খেলা করে চুপে
তার পর নিভে যায়; এক দিন— দুই দিন— আঙিনার ধূপে
তাদের প্রাণের গন্ধ পাই যেন; ভিজে শাড়ি যেন খেলা করে
সারা-দিন বাঁশঝাড় কেঁপে ওঠে— অনেক হলুদ পাতা ঝরে
অথই বিলের মুখে— বাতাসের বুকে-বুকে মাথা খুঁড়ে ফুঁপে
ইছামতী কেঁদে ওঠে; এদেরও বিচ্ছেদ কী যে— মৃত্যু কোনও রূপে
এদেরও দিয়েছে ব্যথা? জানি না ক’; চুপে-চুপে চ’লে যাই ঘরে

আমরা আনন্দ পাব সহজেই— জীবনের সবুজ বাতাসে
মৃতদের ভুলে যাব স্বভাবের নরম নিয়মে
এক দিন কাঁচপোকা ফড়িঙের মতো এই পৃথিবীর ঘাসে
খুঁজিব কাতর হয়ে জীবনের যেই মধু নীল হয়ে জমে
এক দিন আমরাও তবু এই ইছামতী নদীটির পাশে
শুয়ে র’ব— অচিহ্নিত— ভাঁটফুল জোনাকির বঁইচি’র সঙ্গমে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা