আজ এই পৃথিবীর

আজ এই পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য নিরাশার থেকে কোনও মুক্তি নাই
মুক্তি চাহিবার মতো রক্তের প্রাণন নেই কারও
উদ্বর্তিত হয়ে আত্মা চ’লে যায় নগরীর জনস্রোতে
যেখানে নতুন বেবিলন আজ—
মুখ তুলে নিরপেক্ষতায়
দিগন্তের পশ্চিমগামিনী এক হলুদ নদীকে তার
করেছে প্রতীক
যেই দেশে কোনও পাখি নেই আজ আর
যেই দেশ থেকে জল, লোষ্ট্র, মেঘ, অরণ্যের বায়ু
দানবীয় রমণীর মতো দূরে
তবুও পাথর এক রয়ে গেছে— ঊর্ধ্বমুখ— জনতার মাঝখানে
কঙ্কালের মতো কালো বর্ণ নিয়ে নিরুদ্দেশ যোজনার দিকে
ন্যূব্জতায় মগ্ন হয়ে
বণ্টন করিতে আছে আমাদের বিবর্ণ করোটি চির-দিন।

মাথার উপরে সূর্য আমাদের নতজানু ক’রে রাখে
এই এক লোষ্ট্রের দিকে।
আমাদের করজোড় ক’রে রাখে।

চারি-দিকে স্খলিত মাংসের মতো সময়ের স্রোত
গাঢ় বাদুড়ের ধূমা;
দিবাভাগে সহসা উদিত এক নক্ষত্রের
নির্জন আকুতি।
এই সব অযথা ভাষণ নয়— অসম্ভব নয়।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা