জানালায় চাঁদ আসে
জানালায় চাঁদ আসে
সাথে আসে অশিষ্ট বাতাস
ঢের নভোনীল আস্তাবলের বুকে বর্মিজ রগড় নিয়ে হাসে
সেখানে জনতা ভিড়ে চ’লে গেলে জ্ব’লে ওঠে ভিতরের হাড়
তিন জন চীনেম্যান করতালি দিয়ে যায় তবু
সেই পয়মাল থেকে শেষ ভূত আবির্ভূত হয়ে হেসে যায়
যখন আমার পায়ে কবেকার লিচ্ছবি’র জুতা
পেতে চায় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট’এর অহঙ্কার
এই দিকে উপস্থ তামার ডাকে ভিড় ক’রে কয়েকটি জীব
মধু আচার্যকে আনে মাঠে
সৃষ্টি করে সোনালি ডিমের প্যারাডিম
যখন ব্যাঙ্কে সোনা হয়ে আছে ভীষণ তামাটে
হংসী’ও গেছে চ’লে হুন্ডির ভিতরে
কিংবদন্তির সব পেঁচা আর চাঁদ
হৃদয়ে পুষেছি ব’লে— ধূর্ত পাখির মতো আমি
দূর থেকে শুঁকে গেছি ফাঁদ
তবুও ওদের সাথে অনুকূল বাতাসের ভরে
গোলকুন্ডা যাওয়া যায়; চোখে ডিম— সোনালি ডিমের প্যারাডিম
অনেক ঘুরেছে তারা সাম্রাজ্যের হাটে
এরা সব হিরণ্ময় কুয়াশায় মিশে গেলে
অর্ধেন্দুকে পাওয়া যায় মাঠে
বিশেষ সুনাম ছিল সকল শিবিরে
মাছির আলাপ পেলে সাঁটায়ে লাগাত গালে চড়
যেন কারু প্রবালের মতো দাঁত পাছে ঘুস না দেয় লোকজনে
তবুও সে হয়ে গেছে নিস্তব্ধ ভূস্তর
আয়ন ফেনায়ে দিয়ে খদ্যোতের মৃত্তিকা যেন তবু
এখন সে জামা প’রে হেজে গেছে গোধূলির আলাপের ভিড়ে
কিংবা তার সরযূ’কে দেখা যায়
তাবিজের স্তুপে ব’সে বন্ধ্যা রমণী
নানাবিধ প্রত্যাশায় অনেক কিন্নর যক্ষ এসে
গিয়েছে বিশদ ভাবে খুঁড়ে তার খনি
তবুও সেখানে এক ঋষি ব’সে আছে
সুমেরীয় স্বপ্নে তাকে ভাবি আমি: নারী।
অর্ধেন্দু গিয়েছে ডুবে নির্বিষয়ের বিম্বে…
মাইক্রোফোন’এ, গ্যাসল্যাম্প’এ, ট্রাম-বাস-সমিতি-ভিড়-ফুটপাতে
সময়ঘড়ির আড়াআড়ি;
একটি গাধা’র ছড়ি নিজের ধােপাকে কেউ দিয়ে দেয় পাছে
এই ভয়ে সারা-দিকে নিস্তব্ধতা ক্রমেই নেমেছে
অন্তঃসত্ত্বা রমণীর মতো ফুলে ফেঁপে ওঠে স্নায়ুর বেলুন
পৃথিবীর মানুষ আরও উঁচু-উঁচু কালো গাছে উঠে
অন্ধকার বিমূঢ় লেগুন এক নেভাচ্ছে চালসে চাঁদটাকে
একটু হলেই সব সম্রাটেরা মজুরের সাথে— পাশাপাশি
অগ্নির উপর দিয়ে হেঁটে যেত। কেউ যদি যাজ্ঞবল্ক্য হয়
খনির ভিতরে সব রমণী কি ভূমার প্রত্যাশী
হয় নাই? এ-সব কুয়াশা ছাড়া, হে স্ফটিক, কী দেব তোমাকে।
এই সব বুদবুদ ভেসে ওঠে— মিশে যায়—
সময়ের ঢেউয়ের ভিতরে
হাড়ভাঙা সাদা ভূত করজোড়ে কাছে র’য়ে গেছে
কথা বলিতেই আজ্ঞা সমাপন করে
তবুও সে পরিমাপ ক’রে দেখে জলের গেলাস রেখে পাশে
আমাদের হৃদয়ের ব্যক্ত অহঙ্কার।
যাহারা পানীয় খেয়ে গিয়েছে গভীর স্বচ্ছ দাঁতে
তাহাদের সচেতন অনভিজ্ঞতার
নাড়ি হিম হয়ে গেলে তুড়ি দিয়ে— তুড়ি দিয়ে হাসে।
Comments
Post a Comment