কাঁঠালের ডালে-ডালে

কাঁঠালের ডালে-ডালে চৈত্রের বাতাস করে খেলা
মৃদু ছপছপানির শব্দে ভ’রে আছে এই দুপুরের বেলা
চিল বুঝি ডানা ধোয়? সোনালি রূপসি শঙ্খচিল
নেমেছে নদীর জলে; আকাশের রঙে আজ পৃথিবীও নীল
চৈত্রের দুপুরে এই; বনানির মতো এক অশ্বত্থের নিচে
সবুজ ঘাসের ‘পরে বাদামি পাতার সাথে ছায়ারা মিশিছে
আমের বোলের সাথে খুনশুড়ি শেষ হবে কবে গো কোকিল
নদীর জলের স্বাদে নামিল কি রূপসি সোনালি শঙ্খচিল!

নরম ঘাসের গন্ধ কার যেন বয়ঃসন্ধি দিনের মতন:
আমার? তোমার না-কি? তোমার মুখের রূপে ভ’রে আছে মন
আজও মোর… পঁচিশ বছর ধ’রে খুঁজি নাই— মুখ দেখি নি তো
কোথায় সে চ’লে গেছে? বেঁচে আছে? হয়তো প্রেমের কাছে মৃত
প্রাণ তার— আমিও সে-মুখ ভুলে— প্রেম ভুলে পৃথিবীর পথে
কত যে ঘুরেছি, আহা— আজ এই অপরাহ্নে প্রচুর জগতে
আকাশ হতেছে রাঙা— সন্ধ্যার কাকের মতো হৃদয় আমার
সে কোন্ নীড়ের গন্ধ— পৃথিবীতে সেই নীড় নাই আজ আর।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা