কী ক’রে সন্ধ্যার চিল
কী ক’রে সন্ধ্যার চিল চোখের পাতার মতো শব্দহীনতায়
নেমে আসে;— বিবর্ণ প্রাসাদ এক এক-সারি হরিতকীগাছের পিছনে
আরও স্থির;— কী ক’রে জলের কাছে অন্তহীন সময় পোহায়
মাখনের মতো সাদা রাজহাঁস— মরণের দিকে প্রাণপণে
এদের ছুটিতে নেই;— উডকাট থেকে ছবি উড়ে এসে করেছে নির্দেশ।
হয়তো মৃত্যুর পারের এই দেশ?
এইখানে কোনও চীন গরিমার ছায়া এলে মরুভূর অর্থ গহীন
হয়ে যেত। গঙ্গা’র দুই পাড়ে যেই সব ফ্যাক্টরি’র ক্লেদ
নিগ্রো সংগীতের মতো বার হয় অন্ধকারে— কিংবা মনীষীরও
সূচের মতন ঢুকে ফাল হয়ে বেরুবার শুক্ল যজুর্বেদ
এইখানে কিছু নেই— মানুষের হৃদয়ের সব কিছু শানিত আবেগ
বিকেলের বন্দরের শীর্ষে গিয়ে সোনার দানার মতো মেঘ
হয়ে আছে। এইখানে শুধু এক কাঠি থাকে স্থির নিরুত্তর
কাঁধের উপরে তার, বিস্ফারিত চোখ নিয়ে মৃত্তিকার হাঁড়ি
মস্তিষ্কের খণ্ড বলে— সময়ের কাছে দেয় গোপনীয় কর
চেয়ে দেখে কালো পুকুরের থেকে রাজহাঁস-সারি
চ’লে যায়— হয়তো-বা সুমেরীয় নক্ষত্রের পানে
অথর্ব গার্গী’র মুণ্ড ছিন্ন করো: এই অভিশাপ তারা জানে।
Comments
Post a Comment