পাহাড়ের পথে আমি

কোনও দিন পাহাড়ের পথে আমি বিশুষ্ক বাতাস—
মাথার সমস্ত টেরি ছেড়ে দিয়ে—
শরীরে লাগাতে গিয়ে কান পেতে শুনে গেছি জল—
দু’ চোখ বুজায়ে ফেলে— দূর থেকে শব্দ ক’রে যায়।
আমি তার পিছে গিয়ে (অনায়াস অপলকে)
অন্বেষণ ক’রে নিতে বাধা পাই— এমন নির্দিষ্ট সম্ভ্রম
জলের সংস্পর্শে এসে— দূর থেকে— মানুষের হৃদয়ের।
কোনও এক দূরতর— উচ্চতর— ডালের ভিতর থেকে পেঁচা
বালকের হাত থেকে সমুৎক্ষিপ্ত চিলের মতন
সহসা বিরল শব্দ ক’রে চুপে নিভে গিয়ে কোটরের থেকে
নির্জন জলের শব্দ শুনে যায়— বিকেলের ছায়ার ভিতরে
তাহার নীরব পাখা হামাগুড়ি দিয়ে নেমে জল আর গোধূলির রং।
নির্ঝরের ফেনা থেকে এক দিন জন্মেছিল পাখি।
অথবা সে মৃত আজ— জলের ভিতর থেকে হেঁয়ালির মতো
উঠে এসে আমাকে একাকী পেয়ে ঘড়িহীন সময়ের পথে
যা হয়েছে— যা হতেছে— অথবা যা হবে
সকল ঘোষণা ক’রে আবার স্তিমিত হয়ে যায়
কোনও এক মৌন জীব— মৌনতাকে যারা
অবহেলা ক’রে যায় নগরীর গোল গণিকার
বার থেকে নানাবিধ সমুজ্জ্বল, সক্রিয় শপথ
ধূমায় আরতি ক’রে— অথবা নিজের গুণে মহীয়ান জরথুস্ট্র, শনি
রিবেনট্রপ— দেবযানী— চ্যাং— সব নাম
অদ্ভুত অন্যায় ভাবে— অজানিতে— আওড়ায়ে পাহাড়ের পথে
আধ-ঘণ্টা-টাক আমি চুপ থেকে মৃত পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ নির্ঘণ্টের কথা ভাবি— সকলেই তারা
নদীর ভিতর থেকে এসেছিল— জলচূন্নির মতো উঠে
অইখানে নির্ঝরের অনুধাবনার পথে আজ
কথা কয়— সকল প্রেমিক সব গণিকারা মিলে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা