চোখ দু’টো ক্রোনোমিটারের মতো

চোখ দু’টো ক্রোনোমিটারের মতো সময়কে অন্বেষণ ক’রে
চ’লে যায়— আমাদের ক্রোনোমিটারের মতো নয় তবু
(যেখানে অতীত এসে দেখা দেয় বর্তমান মানুষের কাছে
ভবিষ্যতের রেখা স্বাভাবিক প্রান্তরের মতো তার চোখে প’ড়ে আছে)
(পৃথিবীর ক্রোনোমিটারের মতো ঠিক নয়)
সেই লোক ভেবে গেছে ঢের দিন: মানুষের সাধারণ কাজের ভিতরে
যদিও বিশ্রাম আছে— কপালে কানের পাশে একটি কী দু’টো সাদা চুল
অন্তরঙ্গতার মতো চুপে ঈষৎ বাতাস এলে নড়ে
তার পর মৃত্যু আছে
তবুও বিষয় কেউ পেতে চায় এই পৃথিবীতে
কেউ চায় বিষয়ের ভিতরে রূপক
কেউ চায় রূপককে নিরাবিল
অনেক আশ্চর্য লোক— এই সব প্রার্থনার ভীষণ মিলন, গরমিল
অনুভব না ক’রেই শুয়ে থাকে অন্ধকারে প্রেয়সীকে নিয়ে
অথবা মৃত্যুর নদীর পারে নেউলের মতন দাঁড়িয়ে

এই সব যাচ্ঞা ও অজ্ঞাতসার তবুও ভীষণ নিস্তব্ধতা।

যেই মৃত্যু, যেই প্রেম, যেই রমণীর প্রয়োজন
নিওলিথ যুগ থেকে আজ তক পৃথিবীর চিন্তা, হাড়, মাটির মতন
ভ্রমণ করেছি আমি তার খোঁজে— দেখে তবু দেখি নি কোথাও
জলের ভিতরে নদী সর্বদাই বারো তেরো বাঁও
ডুবে যায়— পিপুলের ডাল থেকে উড়ে যায় ধবল সারস
ছবির মতন সব নিরুত্তর; বধির ছবির হাতযশ

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা