কোকিল অনেক দিন ডেকে
কোকিল অনেক দিন ডেকে গিয়ে— তার পর এখন জীবনে
কোনও এক হেমন্তের স্তব্ধ রাতে ধুলো হয়ে গেলে
কথা উত্থাপিত হয় প্রথম তখন ধীরে— তোমার নির্জন মুখ
নেমে আসে—
কোনও এক হরিতকী অরণ্যের জ্যোৎস্নার ভিতর দিয়ে যেতে-যেতে
শেমিজে শাখার ছায়া ডোরা কাটে— চেয়ে দেখি
যত দূর শিশির গিয়েছে— মৃত চিতাবাঘিনি’র আত্মা যেতে পারে।
চিতার উজ্জ্বল ছালে দেখেছি অনেক ক্লান্ত, গোল অঙ্গারের
সমাবেশ— সূর্যের অস্থির স্রোতে বুদবুদের মতো তারা
তার পর রাত্রি আসে— হেমন্তের নিস্তব্ধতা।
মাঝশূন্যে মাকড়ের জালের মতন
চাঁদ ভাসে— আরও নিম্নতর শূন্যে আমাদের দু’ জনার প্রিয় স্কেলিটন
মেখে আছে: হয়তো অৰ্জুন সীতা— যাজ্ঞসেনী এবং লক্ষ্মণ।
Comments
Post a Comment