জানো না কি তোমরা

জানো না কি তোমরা মুখোশ প’রে এসেছ এখানে
তোমাদের কারু মুখ হয়তো-বা সাহারার উটের মতন
ডাক্তারের ছুরি আর শিল্পীর আঁচড়ের টানে
উটপাখি ক’রে দিতে পারি আমি— পাখি নয়, তবুও জন্তুই আজীবন
ব’লে গেল হুঁশিয়ার লোক এক;— বেশি ক’রে জানে
আমাদের সকলের চেয়ে সে যে জীবনের মানে;
তাহাকে সম্মুখে রেখে এই বার করা যাক মঞ্চে আরোহণ—

মঞ্চ পায়ের নিচে ঘুরে যায় ডাইনামো’র বেগে
এ-দিকে সমুদ্র আছে— ও-দিকে লেগুন
হরিয়াল উড়ে যায় আকাশের জাফরান মেঘে।
আমরা করেছি মাফ আমাদের পূর্বজ জীবের সাত খুন
তারাও রয় নি আর পুন্নাম নরক-দ্বারে লেগে
আদি অন্ধকার থেকে সূর্যালোকে আমাদের ডেকে
চেনাল জীবন-ছবি: যদি বলি, আপনারা এ-বার জাগুন

কিন্তু তবু জাগাব না। চায় না ক’ তারা আজ সৌর পুরস্কার
সারা-দিন জেগে থেকে ইন্দ্রধনু খুঁজেছিল না কি
অথবা নদীর জলে হেঁটে যেতে চেয়েছিল— ভুল ক’রে— তবু পুনর্বার
দিয়ে গেছে ঐতরেয়— প্লেটো— পীঠ— তবু যদি বিধি-মত চুল ছেঁটে রাখি
তার পর মৃত্তিকায় প’ড়ে থাকি— যত দূর মাটির বিস্তার
চুল আঁচড়ায়ে দিতে তবে সেই অনর্গল মড়ার মাথার
বিনয়ের অবতার পরিবে কি তবে আর রাষ্ট্রভাষাভাষীদের জি. ও. সি.’র খাকি।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা