আর-একটা রবিবার

আর-একটা রবিবার
সূর্য যেন ঢের
উঁচু-উঁচু কথা— পরোপকারের
বোঝা নিয়ে এল
হরেকৃষ্ণ মিশনের বক্তার মতন
ঢের নামজাদা— লম্বা— মননপ্রধান— তবুও খানিকটা স্থূল
সহজে উদ্ৰিক্ত হয়— মেরুদণ্ড কাঁটা দেয়— কী একটা আটপৌরে ইস্কুল
গড়ন করেছে যেন দর্শনের— সাহিত্যের— কিংবা সুনীতির
চুলচেরা ঘুমের বিতর্কটাকে নষ্ট ক’রে দেবে ব’লে সেই সব
কেটলি-হাতে বালখিল্য ভিড়
বহু ক্ষণ থেকে পাঠাতেছে
নাও— নাও— এত স্বেচ্ছায় তুমি নিভে গেলে অন্ধকার
আবার হপ্তা-পরে শনিবার— রাত দশটার মতো অন্ধকারে
গেলে চলে, রবিবার বেলা বারোটারে
গলায় ঝুলায়ে দিয়ে
চারি-দিকে ইলিশমাছের ঘ্রাণ
কী-যেন-কী খুন হয়ে গেছে: এই স্তব্ধ জনরব যেন
পৃথিবীর ব্যাস জুড়ে গাহিতেছে গান—

বেলা তিনটায় কোনও লাভ হল না ক’
খবরের ডিপো থেকে সমস্ত কাগজগুলো বিবাহ-বাড়িতে
শ্রাদ্ধ খেয়ে গড়াতেছে— সারা-ঘরে— বিছানায়— চেয়ারে— টেবিলে—
নাটক লিখিবে ব’লে এসেছিল— তবু মূলতই ঢিলে
ঢিলে সব
চারি-দিকে শূন্য বালটিগুলো প’ড়ে আছে— এক ফোঁটা নেই তাতে জল
হঠাৎ গুবরেপোকা সেখানে আছাড় খায়— টং ক’রে শব্দ হয়
কে এক বিপন্ন বিড়াল যেন: বেলা পাঁচটার— কেঁপে ওঠে ব্রহ্মরন্ধ্রময়
খানিকটা মিষ্টি সাবান গুলে চৌবাচ্চার জল এত অন্ধকার মনে হয়
সেইখানে সাপগুলো কিলবিল ক’রে বলে: এই বার আমাদের পালা জন্মেজয়।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা