ভোর ও ছয়টি বমার: ১৯৪২

কোথাও বাইরে গিয়ে চেয়ে দেখি দু’-চারটে পাখি।
ঘাসের উপরে রোদে শিশিরে শুকায়।
নিজেদের খেতে ধানে— চার-পাঁচজন লোক—
মানবের মতন একাকী।
মাটিরও তরঙ্গ স্বর্গীয় জ্যামিতির প্রত্যাশায়
মিশে গেছে অতীত ও আজকের সমস্ত আকাশে।

দিগন্তে কি ধর্মঘট?— চিমনি… পাখির মতন অনায়াসে
নীলিমায় ছড়ায়েছে। এখানে নদীর স্থির কাকচক্ষু জলে
ঘুরুনো সিঁড়ির মতো আকাশ পর্যন্ত মেঘ সব
উঠে গেছে— অনুভব ক’রে প্রকৃতির সাথে মিলিত হতেই,
অমিলনে সূর্যরোলে জ্যোতির্ময় এলুমিনিয়ম অনুভব
ক’রে আমি দুই তিন চার পাঁচ ছয়টি এরোপ্লেন গুনে
নীলিমা দেখার ছলে শতাব্দীর প্রেতাত্মাকে দেখেছি অরুণে।

সওগাত । কার্তিক ১৩৫৪

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা