চাঁদের প্রতিভূ

কী ক’রে অনেক দিন বেঁচে থেকে পৃথিবীতে চাঁদের প্রতিভূ
জানা যায় বুড়ো-বুড়ো মেয়েদের কাছে
চাঁদের আলোয় তারা হতে পারে গভীর বিদগ্ধ ভূত
জ্যোৎস্নার আলেয়ায়, মৃততম পৃথিবীর ছাঁচে
কেউ যদি ম’রে গেছে পৃথিবীতে বেগের বিপথে চ’লে
তবে সেই মুণ্ডের লোষ্ট সেই নারীদের পেটে প’ড়ে আছে

সেই ভয়ে মৃত্যু পরিত্যাগ ক’রে আমি র’য়ে গেছি আজও
ঐতরেয় ব্রাহ্মণের দাঁত ভেঙে ফেলে
মনে হয় জীবনের সুগভীর বিষয়ের কাছে—
নচিকেতা ছিল এক অতিরিক্ত ছেলে—
যারা দৃঢ় মাড়ি বার ক’রে হয়ে যেত হাসির জোব্বা
চায়ের টেবিলে সেই নিরঙ্কুশ তাপসকে পেলে

কঠিন সতর্ক ভাবে প্রতিধ্বনি করি আমি—
তার পর তাহাদের সনির্বদ্ধ ধ্বনি শোনা যায়
কোথাও নেপথ্যে বুড়ো কার্তিকেয় র’য়ে গেছে যেন
তাহার ময়ূর আজও ওদের রুটির স্লাইস খায়
অণ্ড যদি ব্রহ্মার সৃষ্টির প্রতীক, তবে, হে গাঢ় মায়াবী,
মেধাবী পাখির ডিম ওদের টেবিলে ঢের মামলেট, হাসি আর হুররা ছড়ায়।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা