ভাঁড়ের মৃত্যু: ১৯৩৬

পৃথিবীতে বহু দিন বেঁচে থেকে— অবশেষে— তুমিও-যে আততায়ী হবে!
কাজ সাঙ্গ হলে তাই নির্জন দস্তানা প’রে গাধা’র টুপিটা
প্রারম্ভেই এঁটে নাও— ফুঁ দিয়ে মোমের বাতি নিভাও নীরবে
জলের গেলাসে আর তখন যাবে না দেখা মুখ
চারি-দিকে শীত-বায়ু— শুষ্ক মনাক্কা’র মতো মদির চিবুক
পিঙ্গলা সুষুম্না যেন— মনে হয়— সুপক্ক গমের মতো মিঠা
অন্ধকারে ঝরিতেছে।— স্পষ্ট অহঙ্কার আর মতভেদ নিয়ে তুমি তবে
চার্বাকের তুণ্ড ভেঙে চ’লে যাও
যদিও মৃত্তিকা কৃমি স্বরাট শবকে তুলে ল’বে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা