শিশু-কাল থেকে আমি

শিশু-কাল থেকে আমি অন্ধকারে দ্রুত জোনাকিকে
ভালোবাসি— কখনও-কখনও মনে হয়েছিল স্তব্ধ শরতের
নির্মল হাওয়ার রাতে— হয়তো-বা আকাশের মৃগশিরা, স্বাতী
কোনও এক ছিপছিপে প্যাগোডা’র চূড়ার উপরে
(অথবা ঝাউয়ের পারে) সমুচ্চ ঝাউয়ের শীর্ণ ফিরোজা রঙের
(জ্যালজেলে) শাখার ভিতর থেকে সর্বদাই জোনাকির ভাষা
জোনাকি’র সাথে বলে— জোনাকিরা বোঝে ব’লে অনুভব করে
তখন অনেক রাত— মৃত মানুষের সাদা হাড়ের মতন
দু’-একটা ঢের উঁচু আঞ্জিরের শাখা
পুরাতন পৃথিবীর ধুলো বালি ভ’রে দিয়ে গেছে
প্রতিশ্রুতির গল্পে পুনরায়— তবুও তো গৃহস্থের পাথরের দেয়ালের কাছে
পুরাতন আচারের প্রতিভায় ভরা এক শিশি’র মতন
নির্জন নির্নিমেষ— উন্মীলিত জানালায় নির্মল বাতাস
সর্বদাই বহে যায়— প্রাঙ্গণের স্থির কুকুরের
কর্ণপাতে সর্বদাই শিশিরের শব্দের মতন
মানুষেরা পৃথিবীর অপরাধ ভুলে
কাঠের বিছানা খুলে ঘুমায়ে রয়েছে— শুধু জীব
উচ্চতম ঝাউয়ের শাখার উপরে গিয়ে জোনাকির মতো
অন্য নক্ষত্রের সাথে মুখোমুখি ব’সে আছে ব’লে মৌন চাঁদ
শুষ্ক পাথরের মতো তার চোখের পবিত্র আলো ঢেলে
প্রান্তর পাহাড় নদী পৃথিবীকে বস্তুতই মৃত্যু দিয়ে গেছে।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা