তখন আমার দিন ছিল

দিন ছিল— তখন আমার দিন ছিল এই পৃথিবীতে
তখন হৃদয়ে ছিল বৈকুণ্ঠের বায়ু, পরমাণুদের মতো বেগ
দশটি কিনারে ভূত অন্ধকার ঘরে ব’সে বৃষ্টির দিনে
মাথায় জন্মাতে পারে যেই সব কিমাকার মেঘ
মুদ্রাদোষ— তাদের উর্ণা থেকে মক্ষিকার মতো মুক্ত হয়ে
নিমেষেই দেওয়া যেত রুপালি শুক্তির মতো রৌদ্রের উদ্ৰিক্ত আবেগ

সমুজ্জ্বল পিতলের পিলসুজ তবুও বিবর্ণ হয়ে পড়ে
যখন দীপের আভা নিভে আসে মাথার উপর
অনেক বিস্তীর্ণ চিন্তা ক’রে ফেলে তবুও হাওয়ায় হাত রেখে দিয়ে বুঝি
একটি তিসি’র বীজও রয়েছে তেমনই নিরুত্তর
তখন শরীরে ঢের হিম এসে জ’মে গেছে
বন্ধুদের উৎসঙ্গে প’ড়ে থাকে কনুইয়ের ভর

মনে হয় চারি-দিকে নাশপাতি পেকে আছে কোনও এক বিষয়ীর ঝুড়ির ভিতরে
হারায়ে ফেলেছে সব সূর্যের সম্মান
বাইরে বৃষ্টির শব্দ— অন্ধকার— হিংসা— অগ্নি— ষষ্ঠি হাজার—
গণেশের শুঁড় তবু সরীসৃপের মতো নড়ে— আমাদেরও মাংসের ঘ্রাণ
মিষ্টি হয়ে পেকে ওঠে;— বৃদ্ধরা সহাস্য নাকে গল্প বলে লুপ্ত মৃতদের—
কী ক’রে ধারালো কঁচি কেটেছিল এই অই আর সেই প্রেমিকের কান।

Comments

সর্বাধিক পঠিত কবিতা

যত দূর চোখ যায়

তবুও সে আসবে না আর

এইখানে প্যাকাটির মতো

আকাশের চাঁদ

যাত্রী

পটভূমি

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

রবীন্দ্রনাথ

পটভূমির ভিতরে গিয়ে

নারীসবিতা